ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সহজ শর্তে কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করা যাবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
সহজ শর্তে কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করা যাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (ফাইল ছবি)

ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কাতার সরকার বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের বিষয়টি খুব আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে। এলএনজির মূল্য প্রতিনিয়ত উঠানামা করলেও তুলনামূলক কম মূল্য ও সহজ শর্তে কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করা যাবে। দেশটির সরকার অর্থায়নের বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলএনজি আমদানির অর্থ সংস্থানসহ সামগ্রিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাওয়ার প্লান্ট, এলএনজি টার্মিনাল, অফসোর ড্রিলিং ও পাইপলাইনে দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্টের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগকে বাহিনী তৈরি এবং ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টর হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ এ সেক্টর থেকে দ্রুত রিটার্ন আসে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে অর্থায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়া এলএনজি আমদানি পর্যায়ে শুল্ক বা কর ধার্য না করে পরোক্ষভাবে বাজার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সভায় এলএনজি আমদানি ও সরবরাহের বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়।

এছাড়াও মূল জাহাজ থেকে ভাসমান জাহাজে তেল খালাস হবে এবং রি-গ্যাসিফিকেশন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। আর ফ্লোটিং টার্মিনাল বেসরকারি খাতে দেয়া হয়েছে, যার ভাড়া দেয়া হবে। বাৎসরিক কয়েক বিলিয়ন ডলারের এলএনজি আমদানি ও সরবরাহ করা হবে। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় এলএনজি আমদানির মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্প কারখানা স্থাপন এবং সর্বোপরি জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য এই উদ্যোগকে গুরুত্ব এবং সমর্থন দেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সভায় সবাইকে মুক্ত আলোচনার আহ্বান করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, জ্বালানি বিভাগে এলএনজির বিষয়ে একটি কোর ম্যানেজমেন্ট তৈরি করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) আওতায় ১ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বন্ড এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের আওতায় ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার প্রক্রিয়াধীন। ২০১৮ সালের পর প্রাকৃতিক গ্যাস কমে আসবে এবং এলএনজি সরবরাহ বাড়াতে হবে। দামের বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।

পরে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বিষয়ে ১৫ বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চক্তিতে প্রতি বছরে ২৫ লাখ টন এলএনজি আমদানি করা হবে। প্রায় ২৫ লাখ গ্যাস শিল্প ইউনিট এর অপেক্ষায় আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।