বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে তিস্তা সোলার লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
তিস্তা সোলারের পক্ষে চুক্তি সাক্ষর করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে বোর্ডের সচিব মিনা মাসুদুজ্জামান।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করতে যাচ্ছে তিস্তা সোলার। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০ বছরে এ প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ প্রতি কিলোওয়াট ১৫ সেন্ট দরে বিক্রি করবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা সোলারের সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ।
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, এই প্রথম দেশিয় কোম্পানি ২০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে।
আগামীর বিশ্বে বাংলাদেশ হবে পরিবেশবান্ধব জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহরের ছাদ ব্যবহারের কথা ভাবছি। আরও সামনে সূর্যগ্রাম প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সোলারের ওপর নির্ভরশীল হতে যাচ্ছি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারে ঝুঁকছে। বাংলাদেশকেও এদিকে যেতে হবে। আমরা চাইবো যত কম পারা যায় কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাতে। এজন্য প্রচুর নবায়নযোগ্য এনার্জি দরকার।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, ১৮ মাসের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে চুক্তিতে। কিন্তু আমরা ১৫ মাস পরেই সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, দেড় দুই মাসের মধ্যে সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে কাজ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭ আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা
এসএ/আরআর