এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিয়াক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে মূল কাজের উদ্বোধন হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা আণবিক শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটম এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প বাস্তবায়নের মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট স্থাপন করা হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। আগামী ২০২৩ সালে এর প্রথম ইউনিট এবং পরের বছর ২০২৪ সালে দ্বিতীয় দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টানা ৬০ সছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এছাড়া এই প্রকল্পে ভবিষ্যতে আরো দুটি ইউনিট করার পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জায়গায়ও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো বড় কাজ আর হয়নি। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে প্রবেশ করবে। এটা আমাদের একটা মাইল ফলক অর্জন। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তুতির সব কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন হলেই কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে, আমরা লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এসকে/জেডএম