ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

জ্বালানিখাতে নীতিমালায় অবদান রাখতে পারে এনার্জি চার্টার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
জ্বালানিখাতে নীতিমালায় অবদান রাখতে পারে এনার্জি চার্টার তুর্কেমেনিস্তানে আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টারের ২৮তম সভা (সংগৃহীত)

ঢাকা: জ্বালানি খাতের বিনিয়োগ নীতিমালা সুষম করতে আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বহুজাতিক নীতিমালা তৈরি ও সমন্বয় করতেও এ সংস্থার সহায়ক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এ সময় তিনি জ্বালানি সহযোগিতায় সহাবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) তুর্কেমেনিস্তানের রাজধানী আশাগাবাদে আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টারের ২৮তম সভার মিনিস্টারিয়াল সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জল-বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের (বিবিআইএন) নেটওয়ার্ক কার্যকরী করতে কাজ করছে বাংলাদেশ। তুর্কেমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ইন্ডিয়া (টিএপিআই) পাইপলাইন প্রকল্প বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের সংগঠন আসিয়ানের (এএসইএএন) গ্রিড এ অংশ নিয়ে আঞ্চলিক বন্ধন জোরদার করতে এনার্জি চার্টার অতুলণীয় অবদান রাখতে পারে। ঝুঁকিবিহীন সুষম জ্বালানি সরবরাহে এ সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা তৈরি করা সম্ভব।

এ সময় বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নতিকল্পে প্রশিক্ষণপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগিতা কমনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তহবিল গঠন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রেগুলেটারি ক্লাইমেটের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এনার্জি চার্টার সবাইর জন্য একটি ফ্লাটফর্ম তৈরি করে দিতে পারে।

পারস্পারিক সহযোগিত বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়ে অনুষ্ঠিত ২৮তম সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রধান ও তাদের প্রতিনিধি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ২৮তম সম্মেলনের সভাপতি মাকসাত এম. বাবায়েভ ও মহাসচিব ড. অরবান রুসনাক।

পরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টারের মহাসচিব ড. আরবান রুসনাকের সঙ্গে এক দ্বি-পাক্ষিক সভায় মিলিত হন। সভায় বাংলাদেশ জ্বালানি নিরাপত্তা, এলএনজি টার্মিনাল গভীর সমুদ্র বন্দর, কোল টার্মিনাল, পাইপলাইন প্রকল্প, রিফাইনারি, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা কমনা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।