বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিয়েক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে মূল কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে দুপুর ১২টায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
উৎমবমূখর পরিবেশ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাবনা ও ঈশ্বরদী এলাকাসহ আশপাশের আওয়ামী লীগ নেতারাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিচ্ছেন।
এরই মধ্যে ঢাকা থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আনবিক শক্তি কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছেছেন।
রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হতে যাচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা(আইএইএ)ও ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিও মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন আলেক্সি লিখাচেভ, অন্যরা ইতোমধ্যেই চলে এসেছেন৷
প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হবে।
প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার দু’টি ইউনিট স্থাপিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। দু’টি ইউনিট মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
আগামী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট ও পরের বছর ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে টানা ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
বর্তমানে ২ হাজার ২০০ জন কর্মী কাজ করছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে, যাদের মধ্যে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন ৪৫০ জন৷ মূল কাজে যুক্ত হবেন ১২ হাজার ৫০০ জন, যাদের মধ্যে রাশিয়ার থাকবেন ২ হাজার ৫০০ জন৷
প্রকল্পটির আওতায় ভবিষ্যতে আরও দু’টি ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে প্রয়োজনীয় জায়গায়ও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
**পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল কাজ উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এসকে/বিএস