ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ঢাকার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র যাচ্ছে মাটির নিচে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৮
ঢাকার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র যাচ্ছে মাটির নিচে একনেক সভা

ঢাকা: ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাসহ নানা কাজে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজধানীর গুলশান এলাকাকে বেছে নিয়েছে সরকার। ব্যস্ততম এলাকাটিসহ আশপাশের সব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা চলে যাচ্ছে মাটির নিচে। আর মাটির ওপরে হচ্ছে বিশাল ভবন। 

‘ঢাকার গুলশানে ১৩২/৩৩/২২ কেভি ভূ-গর্ভস্থ গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পটির আওতায় গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সরবরাহ লাইনের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এজন্য মাটির নিচে স্থাপন করা হচ্ছে ১৩২/৩৩ কেভি ও ৩৩/১১ কেভি গ্রিডের ইনডোর টাইপ উপকেন্দ্র।

টানেল নির্মাণ করে বিদ্যুতের ক্যাবল সরিয়ে নিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ সাব-স্টেশনের সংযোগও স্থাপিত হবে মাটির নিচেই।
 
চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৯শ' ৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা।

মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো-ঢাকার গুলশানে ভূ-গর্ভস্থ উপকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা নির্ভরযোগ্য বৃদ্ধি এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রাখা। ফলে যেখানে-সেখানে বিদ্যুতের তার ও খুঁটি থাকবে না। উন্নত দেশের মতো সমস্ত বিদ্যুৎ কার্যক্রম যাবে মাটির নিচে।

এটিসহ একনেক সভায় মোট আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আটটি প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। পদ্মা (জশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প (১ ফেইজ) বাস্তবায়নে দুই দফায় তিন বছর মেয়াদ বাড়ানো  হয়েছে।

সময়ের পাশাপাশি ব্যয়ও বাড়ছে ২৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সাড়ে পাঁচ বছরে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ৫৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। অর্থ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। প্রকল্পে জিওবি’র টাকা বাড়লেও কমেছে প্রকল্প সহায়তার পরিমাণ। ভ্যাট এবং অবকাঠামো নির্মাণ খাতে ৪১৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে ঢাকা ওয়াসার সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাবনায়। এখন প্রকল্পের মোট ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৩ জানুয়ারি থেকে বাড়ানো হয়েছে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
এমআইএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।