ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মহেশখালীতে ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে চুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
মহেশখালীতে ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে চুক্তি সমঝোতা চুক্তি অনুষ্ঠানে অতিথিরা/ছবি- শাকিল

ঢাকা: মহেশখালীতে ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এতে ব্যয় হবে ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।

চুক্তির আওতায় উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকবে পিডিবির, ৩০ শতাংশ জিই’র এবং বাকি ১৯ শতাংশ জিই ও বিপিডিবি উভয়ের মালিকানা থাকবে।

বুধবার (১১ জুলাই) রাজধানীর বিদ্যুৎভবনে ওই চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) প্রেসিডেন্ট রাসেল স্টোকস, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস, বিপিডিবির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ।

তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, এতো বড় চুক্তি দেশে এই প্রথম। বিদ্যুৎখাতে এখন বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে। তিনি বলেন, মহেশখালী সিঙ্গাপুরের সমান একটি জায়গা। সেখানে যেসব গ্রাহক আছেন তাদেরকে কোয়ালিটিসম্পন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) প্রেসিডেন্ট রাসেল স্টোকস বলেন, আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন বোর্ডের সঙ্গে কাজ করতে পারবো বলে ধন্য মনে করছি। এর আগে সকালে বাংলাদেশি কোম্পানি সামিট পাওয়ারের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তির আওতায় ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে জিই। এ নিয়ে মহেশখালী অঞ্চলে মোট ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে জেনারেল ইলেকট্রিক।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্নভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। জিই’র সঙ্গে এই চুক্তি বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সেই চেষ্টাকে আরও এগিয়ে নেবে। এটি সরাসরি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।

বাংলাদেশ সময়:  ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।