ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ঈদে চালু থাকবে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
ঈদে চালু থাকবে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র/ফাইল ফটো

ঢাকা: ঈদে উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এজন্য কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় পিডিবি সূত্র।

এ লক্ষ্যে বড়পুকুরিয়া থেকে অল্প অল্প করে পাওয়া কয়লা মজুদ করা হচ্ছে। ঈদের সময় যাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রেখে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যায়।


 
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মুখে স্থাপিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তরাঞ্চলের বাড়ন্ত চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার সক্ষমতা নেই বিদ্যুতের গ্রিডের। সে কারণে লোড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতো এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
 
পুরো গরমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বসে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে পিডিবি। উত্তরের ৮ জেলায় ব্যাপক লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে ঈদের সময় লোডশেডিংমুক্ত করতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগ।
 
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একটি ইউনিট নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে রয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট। এই ইউনিটটি অক্টোবর-সেপ্টেম্বর নাগাদ চালুর উপযোগী হবে।
 
১২৫ ও ২৭৫ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট এখনই উৎপাদনের উপযোগী রয়েছে। ঈদের সময়ে এ ইউনিট দু’টি চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

২০১৭ সাল থেকে বড় পুকুরিয়ার ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় বছরখানেক ভূগর্ভের এই ফেস থেকে প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে কয়লাখনিতে উৎপাদন বন্ধ। নতুনভাবে ১৩১৪ নম্বর ফেসে উত্তোলনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
 
এখন পুরনো ফেসের উৎপাদিত সরঞ্জাম নতুন ফেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন ফেসে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করতে আরও প্রায় একমাস সময় প্রয়োজন হবে বলে জানায় খনি সূত্র।
 
তবে নতুন স্তর থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য খনি অভ্যন্তরে টানেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই টানেল তৈরি করতে গিয়ে কিছু কয়লা পাওয়া যাচ্ছে যা জমিয়ে রাখা হচ্ছে বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মকর্তারা জানান।
 
১২৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু রাখতে হলে দৈনিক ১২শ টন ও ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২৮শ টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। অন্যদিকে ঈদের ছুটির সঙ্গে আগে-পিছে মিলে ৮ দিনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
 
গ্যাস টারবাইন দ্রুত সময়ে চালু ও বন্ধ করা গেলেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার। তিনি বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করতে হলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। আবার বন্ধ করতে হলেও প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা।
 
বর্তমানে তিন হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এসআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।