ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোর ক্যাচার স্থাপন

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোর ক্যাচার স্থাপন বক্তব্য রাখছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ছবি: বাংলানিউজ

ঈশ্বরদী (পাবনা): জনগণ ও পরিবেশের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে বসানো হয়েছে ব্যয়বহুল মোল্টেন কোর ক্যাচার।

শনিবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের রি-অ্যাক্টর পাদদেশে প্রথম ইউনিটের মোল্টেন কোর ক্যাচার স্থাপনের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, রূপপুর এলাকার জনগণের তথা বাংলাদেশের মানুষের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোল্টেন কোর ক্যাচার যন্ত্র বসানো হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কথা দিয়েছিলেন।

তিনি কোনো কথা দিলে সে কথা রাখেন।

 

বাঙালি যা চায়, তা করতে পারে। দেশের জনগণকে ভালোবাসার সঙ্গে কীভাবে নিরাপত্তা দিতে হয় তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার কাছ থেকে শিখেছেন, যোগ করেন মন্ত্রী।  
 

ইয়াফেস ওসমান আরও বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে এ প্রকল্পের কাজ চলছে। সবার সহযোগিতায় আজ বিশ্ব দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। বর্তমান সরকারের অনেক প্রকল্প রয়েছে, এটিই একমাত্র প্রকল্প যেটা পরিদর্শনে পরপর তিনবার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকন্যা কথা দিয়েছিলেন, রূপপুরের কোনো ক্ষতি হয়, বাংলাদেশের ক্ষতি হয়- এমন কিছু তিনি করবেন না। তিনি সে কথা রেখেছেন। শুধুমাত্র এ এলাকার জনগণ ও বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় মোল্টেন কোর ক্যাচার স্থাপন করা হলো। পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোর ক্যাচার এটি, যা অনেক ব্যয়বহুল।  পুরোদমে কাজ চলছে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ।  ছবি: বাংলানিউজ

অনুষ্ঠান আরও বক্তব্য রাখেন-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন, রাশিয়ান ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস্টার খাজিন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এর চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মো. আস সাজিদ প্রমুখ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বাংলানিউজকে জানান, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কোর ক্যাচার স্থাপন করায় এ এলাকার জনগণের আর হতাশা, ভয়ভীতির কোনো কারণ রইলো না। এটি স্থাপন হলো, ১০ লাখ বছর পরও যদি কখনও দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে এ ক্যাচারের ভেতর পড়বে, বাইরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ রইলো না। এটি পরিবেশ ও প্রকৃতি, এলাকার জনগণের জন্য শেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা কিনা আজ স্থাপন করে বাংলাদেশ আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলো।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কিছু মানুষ ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।