ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পাইপলাইনে গ্যাস যাবে বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
পাইপলাইনে গ্যাস যাবে বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর

ঢাকা: দেশের উত্তর জনপদে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুরে গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।  এসব এলাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রসারেই এ উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)
 
 

জিটিসিএল সূত্র জানায়, ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস  সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৭০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুলাই মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
প্রকল্পের আওতায় বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করা হবে। এটা হবে এক হাজার পিএসআইজি (চাপ পরিমাপক)  চাপ সম্পন্ন গ্যাস সঞ্চালন লাইন। এর মাধ্যমে দেশের উত্তর জনপদের ১১টি জেলায় গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
 
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ৩০৫ দশমিক ৩৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। গ্যাস পাইপ নির্মাণে  দু’টি নদী ক্রসিং নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও রংপুর, সৈয়দপুর ও বগুড়ায় প্রয়োজনীয় অফিস অবকাঠামো নির্মিত হবে।
 
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পারভীন আকতার বাংলানিউজকে এ বিষয়ে বলেন, বৃহত্তর উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে অবকাঠামো থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে।
 
জিটিসিএল সূত্র জানায়, রংপুর ও সৈয়দপুরে দু’টি ২০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে বহু শিল্প কারখানা রয়েছে।  এসব প্রতিষ্ঠানে কয়লা, কেরোসিন, ডিজেল, ফার্নেস অয়েল ইত্যাদি জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে রংপুরে ১০০ ও সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর, পীরগঞ্জ, সৈয়দপুর, উত্তরা ইপিজেড এবং প্রস্তাবিত নীলফামারী অর্থনৈতিক অঞ্চলে পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। ফলে দ্রুত এসব অঞ্চলে শিল্পের প্রসার ঘটবে।
 
ভবিষ্যতের চাহিদা মাথায় রেখে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পরিবর্তে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন নির্মাণ করা হবে বলেও জানা গেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।