বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
এর মধ্য দিয়ে ভোলাবাসীর বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হলো।
৭টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা, ১০টি থানা ও ৬৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দ্বীপজেলা। ১৯৯৩ সালের দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া গ্রামে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়। এ গ্যাস ক্ষেত্রের ওপর নির্ভর করে ইতোমধ্যে সাড়ে ৩৪ মেগাওয়াট ও ৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
২০১৩ সালের দিকে বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ইউনিয়নে ৪০ একর জমির ওপর ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাস ভিত্তিক ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
প্লান্ট নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০১৫ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের কাজ শেষ করেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানায়, ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ইতোমধ্যে ২১০ থেকে ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভোলার ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে উৎপাদিত বাকি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেয়া হচ্ছে।
শিল্প উদ্যোক্তারা মনে করছেন, গ্যাস নির্ভর ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎতের সুবিধা পাবে। এর পাশাপাশি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে এখানে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে শুরু করেছে।
বাপেক্স জানিয়েছে, ভোলাতে আরো ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। গত ২ বছরে জেলায় নতুন আরো দু’টি স্থানে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
আরএ