ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে নেসকোকে ১ মাসের আল্টিমেটাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে নেসকোকে ১ মাসের আল্টিমেটাম

রাজশাহী: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে নেসকোকে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। 

শনিবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) রাজশাহী কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি শেষে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

 

এর আগে একই দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।  

এ সময় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকলেও রাজশাহীতে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং ও মাস শেষে ভৌতিক বিল এবং সর্বশেষ জুনে বিলে নেসকোর বিরুদ্ধে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ তোলেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।  

নেসকো কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভৌতিক বিলের মাধ্যমে মানুষের পকেট কাটা বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজশাহীতে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থ হলে নেসকো অফিস অবরুদ্ধ ও বিদ্যুৎ বিল প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। নেসকো লিমিটেডের রাজশাহীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ বিষয়ে স্মারকলিপিও দেন নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, রাজশাহীতে নেসকো প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সবস্তরের মানুষকে নিয়ে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ শুনে আশ্বস্ত করা হয়েছিল নগরবাসী সঠিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, শুরু থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহে নেসকো ব্যর্থ হয়েছে। বিগত সময়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থাকাকালীন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেয়েছেন নগরবাসী। অথচ এখন দিনে-রাতে সমানতালে চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। এতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে।

একদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অন্যদিকে মাস শেষে ভৌতিক বিলের কারণে এখন নাভিশ্বাস ওঠেছে গ্রাহকদের। কারো কারো বিল চার থেকে পাঁচ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মিটার রিডিং না করেই বাড়তি আয় দেখাতে ঘরে বসে যা ইচ্ছে বিল করে টাকা আদায় করছে নেসকো।  

নেসকো কর্মকর্তাদের উদাসিনতায় রাজশাহীবাসী বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ করলে সমাধান না দিয়ে খারাপ আচরণ করা হয় গ্রাহকদের সঙ্গে। সামান্য খারাপ আবহাওয়া ও বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে নগরবাসী নিত্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতসহ সব প্রতিষ্ঠানের কাজে সমস্যা হচ্ছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, সহ-সভাপতি হারুণ-অর-রশিদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর হাসান মিঠু, মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম, ওয়েব রাজশাহীর সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি, রাজশাহী মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিমা খাতুন লিমা, জেলা লোকমোর্চার সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া, যুব নেতা জাহিদ হোসেন, আনসার আলী বাবু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।