৩৪০ টন ওজনের জেনারেটরটি রাশিয়ার ভলগাদনস্ক থেকে যাত্রা শুরু করে সড়ক ও নৌ পথে প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত কুদানকুলাম প্রকল্পে পৌঁছাবে। সড়ক পথে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ সমুদ্র বন্দরে পৌঁছানোর পর এটি বাল্টিক এবং ভূমধ্যসাগর, স্যুয়েজ খাল, লোহিত সাগর ও ভারত মহাসাগর অতিক্রম করবে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের রিয়্যাক্টর কোরে বিভাজন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট তাপ কোরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুল্যান্টের মাধ্যমে অপসারিত হয়। পরবর্তীতে এই তাপশক্তি বাষ্প জেনারেটরে বাষ্প উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। বাষ্পের যান্ত্রিক শক্তি টার্বাইন জেনারেটরে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারিগরি পরামর্শক ও মূল যন্ত্রপাতির সরবরাহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে রোসাটম। প্রকল্পটিতে প্রাথমিকভাবে চারটি ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। প্রথম দু’টি ইউনিট ইতোমধ্যে ভারতের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিটের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। স্বতন্ত্র একটি চুক্তির আওতায় আরও দু’টি ইউনিট স্থাপনে সহায়তা করছে রোসাটম। ইউনিট দু’টির প্রস্তুতি কাজ চলছে।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্বও পালন করছে রোসাটম। পাবনার রূপপুরে নির্মীয়মাণ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রতিটি এক হাজার ২০০ মেগা-ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি ইউনিট থাকবে। ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে প্রতিটি ইউনিটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
এসকে/এসএ