‘বাংলাদেশের জন্য শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে বাংলাদেশের জ্বালানি খাত নিয়ে এমনই তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গবেষণা প্রতিবেদনটি উন্মোচন করেন।
এসময় তার সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ড. খলিকুজ্জামান।
কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ, ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি এবং ওয়ার্ল্ড ফিউচার কাউন্সিল ২০১৮ সালে এ গবেষণাটি শুরু করে। গবেষণায় বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সম্ভব, অর্থনৈতিকভাবে টেকসই এবং সামাজিক দিক দিয়ে উপকারী। শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি অভিগম্যতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের কাঠামোগত উন্নয়ন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে। এর পাশাপাশি তাপ উৎপাদন এবং পরিবহন খাতকেও বিদ্যুতায়নের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয় এতে। সম্ভব ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবহন খাতের ৪০ ভাগকে বিদ্যুতায়ন করা।
বাংলাদেশের ভূ-ভাগে এবং সমুদ্রাঞ্চলে প্রায় ১৫০ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা রয়েছে বলে দাবি করা হয় গবেষণা প্রতিবেদনে। একইসঙ্গে ১৯১ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ২০২৫ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৫ গিগাওয়াট হারে এবং ২০৩৫ সাল থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০ গিগাওয়াট হারে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে বলেও মন্তব্য করা হয় গবেষণায়।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জ্বালানি বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে আমরা একত্রে কাজ করে যাচ্ছি। এ প্রতিবেদন আমাদের সেই কাজে সহায়তা করবে। আমাদের কী পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে এবং সেগুলোর উৎপাদনের সুযোগ কোথায় সে বিষয়ে একটি ধারণাও এতে আছে।
সামনের দিনগুলোতে জ্বালানি খাতে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি দেশীয় প্রেক্ষাপটেও সামগ্রিক চিত্র পাল্টে যাবে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের অনেক প্রাকৃতিক জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। তার জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশ্বে পরিবর্তন আসছে। ভবিষ্যতেও জ্বালানি খাতের সার্বিক চিত্র পাল্টে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/