প্রকল্পের প্ল্যান্ট ম্যানেজার (ওনড) শ্রীলংকান নাগরিক কামাল পেইরিস জানান, প্রকল্পের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সংযোগের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উৎপাদিত বিদ্যুৎ ফেনী ১৩২ কেভি গ্রিড স্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রকল্প ম্যানেজার (অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) শ্রীলংকান নাগরিক ইরেলিলি প্রিয়ানথী জানান, ফেনী লংকা পাওয়ার প্রকল্পটি ফার্নেস ওয়েল চালিত একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প।
তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন নির্ভর করে বিপিডিবির চাহিদার ওপর।
প্ল্যান্ট ম্যানেজার (জেনারেশন প্রজেক্ট) সাইফুল ইসলাম জানান, বিপিডিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১২ একর জায়গার উপর প্রকল্পটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, ৯ মাসের মধ্যে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিশ্বনাথ বণিক রাজু জানান, একটি পরিবেশবান্ধব কর্মপরিসর তৈরির লক্ষ্যে প্রকল্প এলাকার স্থাপনার চারপাশে বৃক্ষরোপণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজারের ওপর বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
ফেনীতে বিদ্যুতের চাহিদার বিষয়ে পিডিবির বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম জানান, ১৩২ কেভি ফেনী গ্রিড স্টেশনের আওতাধীন পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকের পিক আওয়ারে ২৪০ মেগাওয়াট এবং অফ-পিক আওয়ারে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে সবসময় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় মানুষকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে সেচ মৌসুমে সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ দেওয়ার কারণে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ প্ল্যান্ট থেকে ১১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ায় গ্রিড লাইনে ওভারলোডিং হবে না।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল মোতালেব জানান, উৎপাদিত বিদ্যুৎ ফেনীর আওতাধীন এলাকার গ্রাহকদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য এলাকায়ও বিতরণ করা যাবে।
তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে বাড়তি রাজস্ব আয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/