বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ওপর গণশুনানিতে এ প্রস্তাব করা হয়।
এদিন শুনানির প্রথম পর্বে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানির প্রথম পর্বে প্রশ্নোত্তরে অংশ নেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি অন্যতম সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিবেদক সদরুল হাসান, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন। এছাড়া শুনানিতে অংশ নেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এছাড়া কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ মিজানুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান এবং মাহমুদউল হক ভুঁইয়া।
রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে টানা তিনদিন চলবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে ৪১ শতাংশ খরচ বেড়েছে। অপরদিকে, আমদানিকৃত কয়লার ওপর ভ্যাটারোপ করায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ব্যয়ও বাড়বে। বর্তমান দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করলে ৯ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। যে কারণে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৫ দশমিক ৮৮ টাকা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
আরকেআর/ওএইচ/