মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে এই প্রস্তাব করা হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) খুচরা বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তনের আবেদনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০২০ সালের বিতরণ চাহিদা ৫৪ হাজার ১৪০ লাখ টাকা এবং সম্ভাব্য ৩৫ হাজার ৮১৯ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রয়ের বিতরণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রতি ইউনিট ১.৫১ টাকা।
বাপবিবো তাদের আবেদনের সরাসরি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি কথা না বললেও, পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তার সঙ্গে সিস্টেম লস যোগ করে, খুচরা বিদ্যুৎ বিক্রয় মূল্য হার বৃদ্ধি করা উচিত। এছাড়াও পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার পরিবর্তন একই সময়ে কার্যকর করা প্রয়োজন।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নো-লস, নো-প্রফিট বিবেচনায় ২০২০ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিতরণ চাহিদা প্রতি ইউনিট ১.৪৫ টাকার প্রস্তাব করেছে।
গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দ্বায়িত্ব পালন করছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এছাড়াও জুরি বোর্ডে ছিলেন কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ, মিজানুর রহমান এবং মাহমুদউল হক ভুঁইয়া।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে জেরা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) উপদেষ্টা জালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিকিউরিটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহানুর সরকার, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন সংঘটনের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
আরকেআর/জেডএস