শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও সাধারণ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়ে একটানা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
দুপুর ২টা পর্যন্ত দেখা যায় ১ হাজার ৭৩৫ জন সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে স্বতস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর করেছেন।
বিদ্যুৎ ও জনস্বার্থ বিষয়ে আন্দোলনরত রাজনীতিবিদ রুহিন হোসেন প্রিন্স এ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, দুর্নীতি ও ভুল নীতিতে নিমজ্জিত বিদ্যুৎখাতকে কোরামিন দিয়ে বাঁচাতে সরকার জনগণের পকেট কাটার পথ বেছে নিয়েছে। এটা অনৈতিক ও অন্যায়। তিনি বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপচয় বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা গণশুনানিতে দেখতে পেরেছি বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে রয়েছে। তাদের কোনো ঘাটতি নেই। শুধুমাত্র পিডিবির কতিপয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ঘাটতি ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঘাটতি পূরণের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেন, সৎ আয় দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। দ্রব্যমূল্যের দাম এমনিতেই আকাশ ছোঁয়া। এরপর বিদ্যুতের দাম বাড়লে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করতে হবে আমাদের।
বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিরত মো. আলী রনি বলেন, আমি ভাড়া বাসায় থাকি। বাড়িওয়ালা জানুয়ারি থেকে ভাড়া বাড়ানোর নোটিশ দিয়ে বলেছে বিদ্যুতের দাম বাড়লে ভাড়া আরও বাড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়ারুল বলেন, সরকার তো জনগণের কথা শোনে না। শোনে দুর্নীতিবাজদের কথা। তাদের স্বার্থ রক্ষা করে।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল, বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপচয় বন্ধের দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলবে বলে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
আরকেআর/আরবি/