ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নেপাল থেকে ৩৮ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
নেপাল থেকে ৩৮ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ

ঢাকা: নেপালে নির্মাণাধীন আপার কারনালি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে ভারতের এনভিভিএন-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ সরকার। এতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বুধবার (১৮ ডিসেস্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সবগুলো প্রস্তাবই বিদ্যুৎ বিভাগের। এরমধ্যে ভারতীয় জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে নির্মাণাধীন আপার কারনালি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে ভারতের এনভিভিএনের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির লক্ষ্যে একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে ২৫ বছর। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

প্রকল্পের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জিএসআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে বাস্তবায়িতব্য আপার কারনালি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে বছরে সবোর্চ্চ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় সংস্থা এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভাইপার নিগারন লিমিটেডের (এনভিভিএন) মাধ্যমে আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে একটি এসওইউ স্বাক্ষরিত হয়। সে মোতাবেক স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশন ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা ক্রয় মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ছয় টাকা ৪২ পয়সা প্রতি কিলোওয়াট হিসেবে ২৫ বছর মেয়াদে কোম্পানিটিকে আনুমানিক ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আরো জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী কেন্দ্রীয়ভাবে এবং ৪৯৫টি উপজেলায় একযোগে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়ন উপলক্ষে জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্রয়কাজ সম্পন্নের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিওবি ও জাপান সরকারের অর্থায়নে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেস্বর ১৮, ২০১৯
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।