সোমবার (১৬ মার্চ) রাতে ঢাকায় হোটেল কন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে এ আন্তরাষ্ট্রীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। উৎপাদন শুরুর পর এটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাশিয়ার অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ লোকজনের সহযোগিতা নেবো। প্রকল্পের পুরো লাইফ টাইমে তারা জ্বালানি সরবরাহ করবে।
সহযোগিতা চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সঈ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও রাশিয়ার পক্ষে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনে রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সে লিখাচেভ।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি (ফুয়েল) সরবরাহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান ডা. সানওয়ার হোসেন এবং রাশান ফুলেয় সাপ্লাই কোম্পানি টিভিইএল’র বাণিজ্যিক পরিচালক ফিদর সকলভ।
এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব আনোয়ার হোসেন, রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর, ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়ার আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। দুই ইউনিট বিশিষ্ট এই প্রকল্পটির প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইফ টাইম হবে ৬০-৮০ বছর। এই পুরো সময়কাল জুড়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার সার্বিক সহযোগিতা এবং জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০ আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা
এসকে/এনটি