ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাজে গতি বাড়ার নেপথ্যে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাজে গতি বাড়ার নেপথ্যে

ঢাকা: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাজের গতি অনেকাংশেই বেড়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব মন্ত্রণালয় মিলে জাতীয় গড় যেখানে ৮ দশমিক ৩, সেখানে এ বিভাগের অর্জন প্রায় ২৪ ভাগের কাছাকাছি।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমানের তদারকি এবং নেতৃত্বের কারণেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাজে গতি এসেছে। বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর মো. আসলাম উদ্দিন সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান প্রসঙ্গে বলেন, “জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান যথেষ্ট কর্মঠ একজন সচিব। তার সময়ে এই বিভাগে কাজের গতি বেড়েছে। চলমান প্রকল্পগুলো তিনি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করেন। তার তদারকিতেই প্রকল্পগুলোর কাজ আগের তুলনায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হচ্ছে। ” 

আনিছুর রহমান ২০২০ সালের ০৫ জানুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সচিব পদে নিয়োগ পান। ২৭ জানুয়ারি থেকে তিনি এ বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  

তিনি উপসচিব হিসেবে মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। যুগ্ম-সচিব হিসেবে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। এছাড়া অতিরিক্ত সচিব হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়েও সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, “জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাজের অগ্রগতি জাতীয় গড়ের চেয়ে ভালো। পরিকল্পনা কমিশনের করা তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সব মন্ত্রণালয় মিলে জাতীয় গড় যেখানে ৮ দশমিক তিন, সেখানে আমাদের প্রায় শতকরা ২৪ ভাগের কাছাকাছি। ”

আপনি এই বিভাগে যোগ দেওয়ার পর কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো গতিতে কাজ করতে পারিনি। না হলে আরও বেশি অগ্রগতি হতো। আমি এই বিভাগে যোগ দেওয়ার পরেই করোনার কারণে দীর্ঘদিন ছুটি হয়ে যায়। কোরবানির পর তিন মাস ধরে পুরোদমে অফিস করছি। এখন আর পেছন ফিরে তাকাচ্ছি না, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। অনেকগুলো নতুন প্রকল্প আমরা গ্রহণ করেছি। অন্য যে কোনো মন্ত্রণালয়ের তুলনায় আমাদের অগ্রগতি ভালো। তবে আরও বেশি হলে ভালো হতো। কিন্তু করোনার কারণে পারিনি। পরিস্থিতি যদি বর্তমান সময়ের মতো ভালো থাকে, তাহলে আশা করছি ডিসেম্বর নাগাদ অনেক এগিয়ে যেতে পারবো। ” 

আনিছুর রহমান ১৯৬২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শরীয়তপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং চাঁদপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।  

১৯৮৫ ব্যাচের বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্য হিসেবে ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।  

আনিছুর রহমান চাকরি জীবনে সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট-নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের পিতা। তার সহধর্মিণীর নাম মিসেস সালমা সুলতানা রূপালী।

আনিছুর রহমান দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড কেনেডি স্কুলের এক্সিকিউটিভ এডুকেশনের অধীনে তিনি 'Leading successful Program: Using Evidence to Assess Effectiveness' অংশগ্রহণ করেন।  

এছাড়া তিনি সরকারি কাজে চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জামার্নি, ইতালি, ফ্রান্সসহ ২৫টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
আরকেআর/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।