ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নীলফামারীতে পাম্পে পেট্রোল-অকটেন সংকট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২২
নীলফামারীতে পাম্পে পেট্রোল-অকটেন সংকট

নীলফামারী: নীলফামারীতে প্রায় প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন সংকটের কারণে জ্বালানি না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের।

ঈদের কয়েকদিন ধরে এ অবস্থা বলে জানায় তেল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে কবে নাগাদ এ সমস্যা সমাধান তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।

শনিবার (৭ মে) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহরের রাজা, সামসুল ও রশিদা ফিলিং স্টেশনসহ কয়েকটি পাম্পে সামনে সাদা কাগজে ‘তেল নেই’ লিখা টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। যা দেখে অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। একই অবস্থা জেলার বাইরে উপজেলার পাম্পগুলোতে।

জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সূত্র মতে, জেলায় ৩৬টি তেল পাম্পে প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার লিটার পেট্রোল ও ২৫ হাজার লিটার অকটেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু গত তিন মাস থেকে জ্বালানি পেট্রোল ও অকটেনের সরবরাহ কম ছিল। এক মাস ধরে অকটেনের সরবরাহ নেই।

রশিদা ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ঈদের কয়েকদিন আগেই পেট্রোল সংকট চরমে পৌঁছেছে। মানুষকে দিতে পারছি না। ঈদের কিছু দিন আগে ১৪ হাজার লিটার অকটেন এসেছিল, সেগুলো দিয়ে কোনো রকমে চালাতে হচ্ছে।  

তিনি জানান, প্রতিদিন এ পাম্পে দেড় হাজার লিটার পেট্রোল ও ৬০০ লিটার অকটেন প্রয়োজন। কিন্তু, সরবরাহ না থাকায় আমরা গ্রাহককে পেট্রোল ও অকটেন দিতে পারছি না। যার কারণে তেল না থাকায় পাম্পে গায়ে তেল নেই লিখে দিতে হয়েছে।

জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতারুজ্জামান স্বপন বাংলানিউজকে জানান, তিন মাস থেকে পেট্রোল সংকট দেখা দেয়। দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপোতে না পেয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে তেল নিয়ে পাম্পগুলো চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু এখন বাঘাবাড়ী ডিপোতেও পেট্রোল ও অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পাম্পগুলোতে ডিজেল সরবরাহ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।