ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

লোডিশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের জনজীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
লোডিশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের জনজীবন

সিরাজগঞ্জ: তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলেও তার পরের দুই ঘণ্টা লোডশেডিং। এভাবে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা দফায় দফায় লোডশেডিং চলছে সিরাজগঞ্জে।

এতে করে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিল্প উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর চরম প্রভাব পড়ছে। বিদ্যুতের এমন যাওয়া-আসায় ক্ষোভ ঝরে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।  

সিরাজগঞ্জ জেলা শহর ছাড়াও উপজেলাগুলোতেও ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। এতে শিল্প-কারখানার উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেচাকেনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়ছেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা ছয় দিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলার মাঝারী এবং ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।  

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার সাহা জানান, তার সমিতির আওতাধীন ৫ উপজেলায় ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪২ থকে ৪৪ মেগাওয়াট।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ব্যবস্থাপক রমেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, ৪টি উপজেলায় ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সেখানে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪০-৪৫ মেগাওয়াট।  

সিরাজগঞ্জ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই লিমিটেডের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-০১) আব্দুর রউফ সর্দার বলেন, জেলা শহরে দুই ডিভিশনে মোট ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে ১৪ থেকে ১৫ মেগাওয়াট সরবরাহ দিচ্ছে জাতীয় গ্রিড। গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবরাহও কম দেওয়া হচ্ছে। ফলে তারা লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন।  

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে। যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য সব দেশের মতো আমাদেরও সমস্যায় ফেলেছে।  

এদিকে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমাদের চারটি ইউনিটে ১০৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে তিন ইউনিটে ৮৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি ইউনিট গ্যাসে ও অপর একটি ইউনিট ডিজেলে চালানো হচ্ছে। জ্বালানি সরবরাহ পেলে বাকি ইউনিটও চালানো সম্ভব হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।