ঢাকা: দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার (০৫ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের নতুন এ দর জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকায়, এক লিটার অকটেন ১৩৫ টাকা এবং এক লিটার পেট্রল ১৩০ টাকা বিক্রি হবে। শুক্রবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে নতুন এ দর কার্যকর হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার খবরে রাজধানীসহ সারাদেশেই ফিলিং স্টেশনগুলোতে গাড়ি ও মোটরসাইকেলচালকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিং চালকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন, এমনিতে আগের মতো যাত্রী নেই, এরপর দাম বাড়ানো যেন `মড়ার ওপর খাড়ার ঘা‘।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। ভারত ২০২২ সালের ২২ মে থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে, যা অদ্যাবধি বিদ্যমান রয়েছে। এ মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। ( ১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)। অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে (সব পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
এসএমএকে/এসআই