ঢাকা: রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় পেট্রোল পাম্পে প্রতিদিন সকালে যানবাহন ও বাইকারদের তেল নেওয়ার চাপ থাকলেও শনিবার (৬ আগস্ট) তেমনটি দেখা যায়নি। এর আগে হঠাৎ করেই সরকার শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে কম দামে কেনার জন্য শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাতে যানবাহন-বাইকের লম্বা সিরিয়াল পড়ে যায় রাজধানীসহ দেশের সব ফিলিং স্টেশনে।
তবে, শনিবার (৬ আগষ্ট) সকাল নয়টার পর সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পেট্রোল পাম্পে ঘুরে দেখা যায় মাঝেমধ্যে দু-একটি যানবাহন-বাইক আসছে তেল কিংবা অকটেন নিতে।
নীলক্ষেত পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী করিম হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে হঠাৎ দাম বাড়ানোর পর রাত ১২ টার আগে তেল কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সকাল থেকে কোন চাপ নেই। এমনকি অন্যদিনের সকালের তুলনায় আজ চাপ অনেক কম।
পেট্রলপাম্পটিতে মোটরসাইকেলে তেল ভরতে আসা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, দাম একবারে এতো না বাড়িয়ে ১০-১৫ টাকা বাড়াতে পারতো। পুরো অনায্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গাড়িচালক আমজাদ হোসেন বলেন, খরচ বেড়ে গেল। ভাড়া না বাড়ালে বাড়তি খরচ উঠানো সম্ভব না। দেশটা কি শ্রীলঙ্কা হয়ে গেল? কী হচ্ছে এসব! একবারে এতো দাম বাড়তে জীবনেও দেখিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয় করা ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে পুননির্ধারণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
এতে বলা হয়, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটার হবে।
এর আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০, ৬ আগস্ট, ২০২২
এনবি/এমএমজেড