শরীয়তপুর: দীর্ঘদিন ধরে শরীয়তপুর পৌরসভা, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দুই কোটি টাকারও বেশি।
এতো বিপুল বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেই তেমন।
ওজোপাডিকোর কর্তৃপক্ষ একাধিকবার ওই দপ্তরগুলোকে চিঠি দিলেও বকেয়া বিল পরিশোধ করছে না তারা।
শরীয়তপুরের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত আট থেকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুই কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল শরীয়তপুর পৌরসভার। একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর কয়েক ধাপে ২০ লাখ টাকার মতো বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তবে এখনো তাদের বকেয়া এক কোটি ৭৬ লাখ টাকার ওপরে। জেলা পুলিশের পুলিশ লাইন্স ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ৩৬ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। আর শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বকেয়া দুই লাখ টাকা। তাদেরও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলে বকেয়া পরিশোধে অনেকটাই ধীরগতি।
এ ব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের বক্তব্য নিতে বারবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, আমি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরপরই দেখি পৌরসভার দুই কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া রয়েছে। এরই মধ্যে বকেয়া থাকা বিল থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে নতুন করে আসা বিল বকেয়া নেই। খুব শিগগিরই বকেয়া বিল ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, সবেমাত্র গত সপ্তাহে দায়িত্ব নিয়েছি। ৩৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদুৎ বিলের বিষয়টি জেনেছি। বরাদ্দ এলেই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে।
ওজোপাডিকো শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য ওই তিন প্রতিষ্ঠানকেই একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শরীয়তপুর পৌরসভা কিছু টাকা পরিশোধ করলেও অন্য দুই অফিস এখনও কোনো বকেয়া পরিশোধ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এসআই