ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

বার্লিনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জার্মানি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
বার্লিনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।  

‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’- এ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় নেতাদের পাঠানো বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, তার সংগ্রাম মুখর জীবন, কর্ম, আদর্শ এবং একটি স্বাধীন দেশ গঠনে তার ভূমিকার ওপর আলোচনা ও তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে। শিশুরা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সব চেষ্টা করে গেছেন। জাতীয় শিশু দিবসের গুরুত্ব ও শিশুদের জন্য বর্তমান সরকারের মাইলফলক অর্জনসমূহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তার কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি শিশুদের সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক হয়ে বেড়ে উঠতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই নিশ্চিত করছেন। তাই শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করে সবাই মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ, স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

জাতির পিতা তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য, শহীদ জাতীয় চার নেতা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সবশেষে উপস্থিত সবার জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।