ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

সালতামামি-২০২১

চুয়াডাঙ্গায় বছরজুড়েই ছিল করোনা-হত্যা-দুর্ঘটনা-নির্বাচন

জিসান আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
চুয়াডাঙ্গায় বছরজুড়েই ছিল করোনা-হত্যা-দুর্ঘটনা-নির্বাচন

চুয়াডাঙ্গা: দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় ২০২১ সালের শুরু থেকেই মহামারি করোনার ভাইরাস মোকাবিলার প্রত্যয় ছিল সকলের মধ্যে। বছরের শুরুর দিকে করোনার তেমন প্রভাব না থাকলেও মাঝামাঝি সময়ে করোনার দাপট বেড়ে যায়।

এতে ছন্দপতন ঘটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। করোনার পাশাপাশি বছরজুড়েই ছিল হত্যা, দুর্ঘটনা, মৃত্যু, নির্বাচনসহ নানা অপরধামূলক ঘটনা-দুর্ঘটনা।  

বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো-

বছরের শুরুতেই জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন তেমন কোনো আলোচিত খবর না থাকলেও আলোচনার শুরু হয় একটি ঘটনা দিয়ে। জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে সালিশ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় এসে তোপের মুখে পড়েন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। পরে তারা সালিশ না করেই ঢাকার ফিরে যায়। জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বাবা ছেলের বিরোধ মেটাতে ২০-২৫ জনের একটি টিম ওই এলাকায় গেলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যা তখন জেলা ও দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। একইদিনে দামুড়হুদায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শফিকুল ইসলাম (৩৮) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জানুয়ারি মাসজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর ছিল।

ফেব্রুয়ারি জুড়েও ছিল হত্যা, দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর খবর। ২৫ ফেব্রুয়ারি জীবননগরের শিংনগর গ্রামে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেন স্বামী। পরে অবশ্য মামলা হলে স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি দামুড়হুদা উপজেলায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তখনও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মাসে সড়ক দুর্ঘটনাও কম ছিল না। মাসজুড়ে সড়কে প্রাণ হারায় ৫ জন ও বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয় আরও ৩ জনের।

মার্চ মাসের ১৬ তারিখে জীবননগর উপজেলায় মাটিবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক বাইসাইকেলআরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) এসএম মুনিম লিংকনের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় লোকজন। পরে সে রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ মার্চ চুয়াডাঙ্গা আদালতে আইনজীবী ও জজশিপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ ওঠে। হামলার অভিযোগ এনে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমানকে প্রত্যাহারের দাবিতে আদালত বর্জন করে আইনজীবীরা। এতে থেমে যায় আদালতের সব কার্যক্রম। প্রায় মাসখানেক স্থবির ছিল বিচারিক কার্যক্রমও। ২৪ মার্চ সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। যা নিয়েও স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। এছাড়া ২৮ মার্চ দর্শনায় ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান বাবা-ছেলে। এ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আরও ৩ জন, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় ৩ জন ও পানিতে ডুবে মারা যান একজন।

এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই আলমডাঙ্গায় ৫ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওইদিন বিকেলে উপজেলা শহরের কলেজপাড়ার নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে জানা যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনন্দধাম এলাকায় থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ও গ্রেফতার হয় অপহরণকারীদের। ৫ এপ্রিল আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় কচুক্ষেতের ওপর দিয়ে ছাগল নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাগল মালিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ১৬ এপ্রিল দামুড়হুদা থানায় জমিজমা নিয়ে সালিশ বৈঠকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মারধরে ইস্রাফিল মোল্লা (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। সে সময় আটকও হন ভাইসচেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। ১৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা শহরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি তুলে টাকা দাবির অভিযোগে ছয় কিশোরকে আটক করে পুলিশ।  

মে মাসে শুরু হয় করোনার ভয়ংকর দৌড়। সে সময় দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেন ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। ১৭ মে প্রথম দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরে ভারতে আটকেপড়া ১১ বাংলাদেশি। এরপর থেকেই জেলার করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। ২০ মে রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতফেরত যুবকসহ দুই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া ৯ মে জীবননগরের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তিনটি স্বর্ণের বারসহ সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইস্রাফিল হোসেনকে আটক করেছে বিজিবি। ওই দিনই দর্শনায় মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা চালায় মাদকব্যবসায়ীরা। হামলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ চার জন আহত হন। এ মাসেও সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের প্রাণ ঝড়েছে। এছাড়া বজ্রপাত ও বিদ্যুতস্পৃষ্টে প্রাণ গেছে ৬ জনের।

জুন মাসে আরও ভয়ংকর হয় করোনা। এ মাসে শতভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীকে শনাক্তের রেকর্ড আছে। ২৩ জুন ১০০ শতাংশ মানুষই করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জনই করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে মাসের শুরুতে সীমান্তবর্তী দামুড়হুদার বেশ কয়েকটি গ্রাম লকডাউন করা হয়। পরে ওই উপজেলাও লকডাউন করা হয়। ১ জুন বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন ময়েনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন, বজ্রপাতে ২ জন ও জেলখানায় এক কয়েদির মৃত্যু হয়।

জুলাই মাসে করোনার দাপটে চলছিল লকডাউন। লকডাউনের কারণে ঘটনা কিছুটা কম ছিল।  

আগস্ট মাসে করোনার কারণে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ঘটে। প্রতিদিনই মৃত্যু ও সংক্রমণের খবরে দিনদিন পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে যায়। এ মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ অনেকে। যমুনা টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিম করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ১৭ আগস্ট স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিমকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দুর্বৃত্তরা। সে ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ আগস্ট রাতে আলমডাঙ্গার হাকিমপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পুলিশের এক সোর্সকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ২৯  আগস্ট রাতে জীবননগর উপজেলার উথলী রেলওয়ে স্টেশনে মালবাহী ট্রেনের ৫টি  রেল ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরে ১২ ঘণ্টা পর সে লাইন চালু হয়। এ মাসেও সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন, বজ্রপাতে একজন ও পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়।  

সেপ্টেম্বরের ১ তারিখেই দর্শনার ঠাকুরপুর সীমান্ত থেকে ১১টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। যার দাম প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ৭ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার যাদবপুরে জেসমিন খাতুন আয়না নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তার পরকীয়া প্রেমিক হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। ১০ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদার মুন্সিপুর সীমান্ত থেকে ২২ কেজি ৬০০ গ্রাম ভারতীয় রুপার গহনা উদ্ধার করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর নিজের বাল্যবিয়ে ভাঙতে আইনি সহায়তা চেয়ে দরখাস্ত নিয়ে থানায় হাজির হয় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। যা আলোচনার জন্ম দেয়। সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের ও ট্রেনে কাটা পড়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।

অক্টোবর মাসের ৫ তারিখে হত্যা মামলার দুই আসামি মিন্টু ও আজিজের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আলমডাঙ্গার জোড়গাছা গ্রামের দুই গৃহবধূ হত্যা মামলায় ওই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের আলমডাঙ্গায় একসঙ্গে জানাজা শেষে তাদেরকে দাফন করা হয়। ২৪ অক্টোবর বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নববধূকে তালাক দেওয়া হয়। সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ায় এ ঘটনার পর ফের তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ২৫ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা শহরের ঘোড়ামারা ব্রিজ এলাকায় মোটরসাইকেল-আলমসাধুর সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। এছাড়া এ মাসে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক ও গলায় মার্বেল আটকে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

নভেম্বর মাসের ৩ তারিখে জেলা বিএনপির জেলার নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে মাহমুদ হাসান খান বাবুকে আহ্বায়ক এবং শরীফুজ্জামানকে সদস্য সচিব করা হয়। এ মাসের ৭ নভেম্বর বড় ঘটনার জন্ম দেয়। স্কুলপ্রাঙ্গণে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে। বিদায় অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রাণ হারান ওই শিক্ষার্থী। এ হত্যা মামলার ৭ জনের মধ্যে অনেকেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও দু’টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। এরপর ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গার ১৩টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এছাড়া নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুবিও হয়। ১৩টির মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগের জয় হয়। এদিকে নির্বাচনের পরদিন মামা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দ উল্লাস করতে গিয়ে স্ট্রোকে মারা যান ভাগ্নে। এ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সবশেষ ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে শহরের বেলগাছিতে নানার শরীরে ইনজেকশ পুশ করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পরে তার নাতনী হত্যার দায় স্বীকার করে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য নানাকে হত্যা করেন বলে জবানবন্দি দেন। ৭ ডিসেম্বর দর্শনা সীমান্ত থেকে ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করে বিজিবি। ৮ ডিসেম্বর সদরের নেহালপুর গ্রাম থেকে বাঁশ বাগান থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গার মাদারহুদায় পুকুর থেকে মরিয়ম নামে একটি শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। ২৪ ডিসেম্বর ফের দর্শনা সীমান্ত থেকে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ করে বিজিবি। ২৫ ডিসেম্বর পৌর শহরের নীলার মোড় এলাকা থেকে এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। একইদিনে জীবননগরে দেবরের ঘুষি ও লাথিতে ভাবির মৃত্যু হয়। এরপর ২৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদরের চারটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই জয়লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।