নীলফামারী: গোটা জেলায় তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনের। মানুষ খুঁজছে শীতল ছায়া, গাছের নিচ বা ঠান্ডা কিছু পানীয়।
দিনে প্রচণ্ড গরম থাকলেও রাতের শেষভাগে কাঁথা বা কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে, সৃষ্টি হয়েছে আবহাওয়ার বৈপরীত্য।
গরমে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। টিউবওয়েল ও সেচযন্ত্রে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় খাবার পানি ও কৃষিকাজ—দুটিতেই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিবছর পানির স্তর নিচে নামার কারণে এ সমস্যা তীব্র হচ্ছে।
তাপদাহে অনেকে যেমন রিকশা-ভ্যান চালানো থেকে বিরত থাকছেন, তেমনি সাধারণ মানুষের চলাফেরা কমে গেছে।
সৈয়দপুরের হাতিখানা ক্যাম্প এলাকার রিকশাচালক আবুজার রহমান (৬২) বলেন, বয়স হয়েছে, রোদে থাকতে পারি না। কিন্তু সংসারের খরচ তো থেমে থাকে না, তাই বিকেলে রোদের তেজ কমলে রিকশা নিয়ে বের হই।
এদিকে তৃষ্ণা মেটাতে শহর থেকে গ্রামের হাটবাজার পর্যন্ত গড়ে উঠেছে শরবতের অস্থায়ী দোকান। আখের রস, লেবু ও বেলের শরবতের পাশাপাশি ফলের জুস বিক্রি হচ্ছে। গ্লাস প্রতি শরবতের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা, আর জুসের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আইসক্রিম ও বোতলজাত কোমল পানীয়ের চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বাতাসে আর্দ্রতা রয়েছে ৬৩ শতাংশ। এ কারণে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম হলেও গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
এসআই