বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের চেতনা বিদায় হয়েছে। এই চেতনাকে আর কখনও বাংলার মাটিতে জন্মাতে দেওয়া হবে না।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’, ‘শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার’ এবং ‘খেলাফত প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রংপুর জেলা সভাপতি ক্বারী মুহাম্মদ আতাউল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসনাত জালালী, মাওলানা এনামুল হক মুসা ও মাওলানা রেজাউল করিম।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনতাই করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আবারও একটি চক্র ২০২৫ সালে তা ছিনতাইয়ের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তবে এবারে ৭১ ও ৭২ সালের চেতনাকে হারাতে দেওয়া হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় হেলিকপ্টার ও অস্ত্র দিয়ে দেশের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। যারা অতীতে বাকশাল ও স্বৈরাচারবিরোধী কথা বলেছে, তাদের স্বাধীনতাবিরোধী বলে আখ্যায়িত করে একদলীয় শাসন কায়েমের চেষ্টা করা হয়েছে।
মামুনুল হক বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন ঘটে। যখন ৪ কোটি ছাত্র হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে, তখন হাসিনা তাদের 'রাজাকার' বলে গালি দেয়। অথচ তরুণ প্রজন্ম অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এগিয়ে থেকে প্রমাণ করেছে—তারা কোনো রাজাকার নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রকৃত ধারক।
তিনি আরও বলেন, পতিত হাসিনা দেশের ছাত্র জনতাকে হত্যার মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসে আবারও প্রমাণ করেছে, জীবন দিয়ে হলেও সংগ্রাম করে বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব। শেষ পর্যন্ত ছাত্র জনতাই বিজয় অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৫
আরএ
বাংলাদেশ সময়: ৯:১১ পিএম, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ /