ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

প্লেনে ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের সেনা-বিজিপিসহ ৩৪ জনকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৯, মে ৭, ২০২৫
প্লেনে ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের সেনা-বিজিপিসহ ৩৪ জনকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে প্লেনে ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের ৩৪ নাগরিককে 

কক্সবাজার: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যসহ দেশটির ৩৪ জন নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বিজিবির তত্ত্বাবধানে বুধবার (৭ মে) দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের একটি বিশেষ প্লেনে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

তাদের কক্সবাজার বিমানবন্দরে এনে মিয়ানমার থেকে আসা বিমানে তোলা হয়।  

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার জোনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, রাখাইনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সে দেশের ৩৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে সেনা ও বিজিপি সদস্য ছাড়াও কিছু সাধারণ নাগরিক ছিলেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মর্তুজা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে একটি বিশেষ প্লেন দুপুর দেড়টা নাগাদ কক্সবাজারে অবতরণ করে। যেহেতু বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয় না, তাই কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। বিমানটি ২টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার ত্যাগ করে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহেদুল আলম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ৩৪ জনকে ফেরত পাঠাতে প্রশাসনিক কাজ শেষ করা হয়েছে।

এর আগে ২০২৪ সালের ৯ জুন কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনাসদস্যকে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হয়। গত বছরের ২৫ এপ্রিল সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হয় আরও ২৮৮ জনকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো হয় ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে। তিন দফায় ফেরত পাঠানো ৭৫২ জনের সবাই রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে নিয়োজিত ছিলেন। একইভাবে মিয়ানমারে আটক থাকা ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও তাদের দণ্ড শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) হাতে।

এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।