ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

এবার দক্ষিণাঞ্চলের অচলের ঘোষণা ববি শিক্ষার্থীদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৩, মে ১২, ২০২৫
এবার দক্ষিণাঞ্চলের অচলের ঘোষণা ববি শিক্ষার্থীদের  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল।

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে আগামী মঙ্গলবার (১৩ মে) থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অচলের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

সোমবার (১২ মে) অ্যাকাডেমিক শাটডাউনের মধ্যে ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিক্ষোভ সমাবেশের পরে মিছিল করে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।

আন্দোলনের ২৮তম দিনে এ ঘোষণার মধ্যদিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে দক্ষিণবঙ্গ অচলের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থী সুজয় শুভ।  

এদিকে সোমবার শিক্ষার্থীদের ডাকা অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনে ববিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দিনভর ২৫টি বিভাগের পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেখা যায়নি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোরাফেরা করে সময় কাটিয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২৫টি বিভাগের বেশিরভাগ ক্লাসরুমই শূন্য। কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন। তবে বিভাগের সামনে করিডোরে শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা যায়নি। তবে লাইব্রেরির রিডিং রুম, মেডিকেল সেবা এবং পরিবন সেবা সচল ছিল।  

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে মেনে নিয়ে উপাচার্য সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথার কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেবো।

আরেক শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, দাবি মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা একসঙ্গে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত আমাদের দাবি মেনে না নিলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই ভালো নেই। এই ফ্যাসিস্ট মনোভাবের স্বৈরাচারী উপাচার্যকে যদি থাকে তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংস হয়ে যাবে।  

বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাই। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে, যাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই চান না, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে সংকটের সমাধান করুন।

এ বিষয়ে ববি উপাচার্য ও প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চলমান কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসসহ ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মশাল মিছিল,  মহাসড়ক অবরোধ, ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি, উপাচার্যের বাসভবনে তালা, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  

এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।