নরসিংদী: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি ভয়ংকর রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিগত ১৫ বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব অনেক ঝুঁকি নিয়ে, অসংখ্য মামলা নিয়ে রিমান্ডে এবং কারাগারের মধ্যে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছন এবং সে ত্যাগ স্বীকারের মধ্যে যে ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে, সে প্রস্তুতকৃত জমির ওপর জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অবশেষে শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছিল।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে নরসিংদীর মনোহরদীতে হাতিরদিয়া ছাদত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যে ভোটের জন্য অনেক নেতাকর্মী ক্রসফায়ারে জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছে, যে ভোটের জন্য এত রক্ত ঝরেছে, সে ভোট তো আমরা এখনো পেলাম না। এ ভোটের জন্য এত লড়ায়, এত সংগ্রাম। জনগণের যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে, যে দলকে ইচ্ছা সে দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে সরকারে বসাবে। কিন্তু সেটা এখনো কেন ফিরে আসছে না, সেটা নিয়ে এত গড়িমসি কেন।
তিনি বলেন, আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন-আগে সংস্কার সম্পূর্ণ করবেন। কখন সম্পূর্ণ করবেন, কীভাবে সম্পূর্ণ করবেন। সংস্কার পদ্মা নদীর পানির মতো, বঙ্গোপসাগরের স্রোতের মত চলমান। সময়ে সময়ে, যুগে যুগে যখন জনগণের যে প্রয়োজন, সে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কারের স্রোত অব্যাহত থাকবে। সংস্কার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত সরকার থাকলে যে কাজগুলো করতে পারতো, সে কাজগুলো আটকে আছে। শেয়ার বাজার অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম করে বাড়ছে। কোরবানীর আগে মসল্লার দাম বেড়ে গেছে। আজকে জবাবদিহিমূলক সরকার আসলে জনগণের এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হতো।
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাসির, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিফাত, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল খালেক, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি মাহমুদুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি একে এম বাছেদ মোল্লা ভূট্টো, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেন্টু ভূইয়া, মনোহরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাদিম মাহমুদ বায়েজীদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. শহীদুল্লাহ্ , উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আলী আকবর ও সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন বাচ্চু।
ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নরসিংদীর শিবপুরের সাতপাইকা ফুটবল একাদশ বনাম গাজীপুরের কাপাসিয়ার আলফাজ উদ্দিন মুক্তার ফাউন্ডেশন। পরে ২-০ গোলে সাতপাইকা ফুটবল একাদশ বিজয়ী হয়।
জেএইচ
.jpg)
