ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ মে ২০২৫, ২৩ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায় ‘ফণী টু’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:০৬, মে ২১, ২০২৫
প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায় ‘ফণী টু’

বরিশাল: ঘাস বাদ দিয়েই গড়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায় প্রায় ৩০ মণ ওজনের বিশালাকৃতির এক গরু। গরুটি আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ও তার ছেলে মো. শাকিল সুমন।

বাবা-ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ভালোবাসায় তিন বছরে বেড়ে ওঠা গরুটি বর্তমানে লম্বায় প্রায় ১২ ফুট এবং উচ্চতা ৬ ফুটের মতো। ২০১৯ সালে বয়ে যাওয়া সুপার সাইক্লোন ফণীর নামে এর নাম রাখা হয়েছে ‘ফণী টু’।  

গরুর মালিক আব্দুস সালাম বলেন, গরুটি আমাদের হাতালের একটি গাভির বাচ্চা। এটি তিন বছর ধরে আমাদের এ হাতালে লালনপালন করছি। বিশালাকৃতির এ গরুটি এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির চিন্তাভাবনা করছি। আল্লাহ রহমত করলে এটি বিক্রি করব।

তিনি বলেন, আমরা পল্লি এলাকার লোক, এখানে এত বড় গরুর কাস্টমার তেমনভাবে আসে না। তবে আসলে এবং বনিবনা হলে খামারিদের থেকে অনেক কম মূল্যে গরুটি দিয়ে দেব। আর কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে এই গরুকে ফিড খাইয়ে বা ফরমালিন যুক্ত খাবার খাইয়ে বড় করেছি। তাহলে তাকে এমনিতেই এটি দিয়ে দেব। আমি এ গরুকে গমের ভুসি, ভূট্টার গুড়ি, ডাবলির ভুসি, সয়াবিনের ভুসি, ছোলা বুট আর ভূট্টা ভাঙা খাইয়েছি।

এছাড়াও গরুটিকে খুদ, খৈল, কলা ও ঘাস খাওয়ানো হয় বলে জানিয়েছেন আব্দু সালামের ছেলে মো. শাকিল সুমন। তিনি বলেন, গরুটি স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায় তবে বর্তমানে গরমের কারণে কিছুটা কম খাবার খাওয়াচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ গরুটিকে খুব যত্ন করে লালনপালন করা হয়েছে। সবসময় এটা ফ্যানের নিচে থাকে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি দেওয়া হয় এবং প্রতিদিন দুই বেলা গোসল করানো হয়।

‘ফণী টু’ কিনতে কেউ এসেছেন কি না প্রশ্নে শাকিল সুমন বলেন, বড় গরুর ক্রেতা বরিশালে একটু কম, তারপরও ক্রেতা আসছে কিন্তু এখনও বনিবনা হয়নি। বনিবনা হয়নি বিধায় গত বছর এরকম একটি বড় গরু চিটাগাং নিয়ে আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে। এবার প্রায় ৩০ মণ ওজনের এই গরুটির দর চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। তবে দাম নিয়ে কথা বলা যাবে বলেও জানান তিনি।

এমএস/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।