ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

ঠিকাদারের অফিসে হামলা, ৭ নির্মাণ শ্রমিক আহত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৪৯, মে ২২, ২০২৫
ঠিকাদারের অফিসে হামলা, ৭ নির্মাণ শ্রমিক আহত 

বরগুনায় ঠিকাদারের সাব-অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ফোরকান গাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় সাতজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে তিনজনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সেনেরহাট গ্রামে ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে সেনেরহাট এলাকায় দুটি স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ চলছে। বুধবার দুপুরে নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য ইট আনা হয়। ট্রাক্টরচালক ইট রাস্তার পাশে রেখে চলে যান। কিছু ইট রাস্তায় পড়ে। এ সময় ওই পথে মোটরসাইকেলে যাওয়া স্থানীয় ফোরকান গাজী ইট ফেলে রাখার কারণে শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। সাব ঠিকাদার আবদুল হক বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ফোরকান গাজী ক্ষুব্ধ হন।

পরে ফোরকান গাজী, আজিজুল, মুছা সিকদার, জাকারিয়া, আতিক গাজী, সম্রাট, সাগরসহ ১০-১২ জন অতর্কিত ঠিকাদারের সাব-অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং রড দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে।

মারধরে আহতরা হলেন- নির্মাণ শ্রমিক মাসুদ, আনোয়ার, হাবিব খলিফা, শিপন প্যাদা, রাহাত সরদার, ছালাম প্যাদা ও হানিফা। এর মধ্যে মাসুদ, হাবিব খলিফা ও ছালাম প্যাদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সাব ঠিকাদার আবদুল হক বলেন, ট্রাক্টর এসে রাস্তার পাশে ইট ফেলে যায়। কিছু ইট রাস্তায় পড়ে ছিল। এ নিয়ে ফোরকান গাজী গালিগালাজ করলে আমি প্রতিবাদ করি। পরে সন্ধ্যায় সে ও তার সহযোগীরা এসে অফিসে হামলা চালায় ও শ্রমিকদের মারধর করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

ফোরকান গাজী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শ্রমিকরা রাস্তায় ইট ফেলেছিল, এতে চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন আহমেদ সুমন বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, স্থানীয় ফোরকান গাজীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক সাব-অফিসে হামলা, ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।