জামালপুর: জামালপুরের মাদারগঞ্জে প্রাথমিক পরীক্ষায় গ্যাসের সন্ধান মিলেছে।
গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খননের কাজ শেষে রোববার (১ জুন) দুপুর ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
এর আগে শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রাথমিক পরীক্ষায় গ্যাস মিলেছে।
এখন ৭.২ মিলিয়ন প্যাসকেল চাপে গ্যাস বের হচ্ছে। তবে আগামী ১৫ দিন পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে কি পরিমাণ গ্যাস রয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন (বাপেক্স) কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৮০ সালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে সাইসমিক উপাত্তে গ্যাসের উপস্থিতি পায় বাপেক্স। এরপর ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সাইসমিক উপাত্ত এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ক্লোজ গ্রিড সাইসমিক সার্ভে হয়। সেই উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গত ২৪ জানুয়ারি জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, ২৬০০ মিটার খননের পর গত রাতে (শনিবার) গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স। এখন ডিএসটি চলমান রয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর গ্যাসের পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাবে।
তিন মাস মেয়াদি প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬৮ কোটি টাকা।
৭.২ মিলিয়ন চাপ বলতে বোঝানো হয় ৭.২ মিলিয়ন প্যাসকেল (Pascal), যা ৭.২ এমপিএ (MPa) নামে পরিচিত। এটি একটি চাপ পরিমাপের একক। এ চাপ প্রায় ৭০ বার (bar) বা ১০৪৬ পিএসআই (psi)-এর সমান।
এ চাপ গ্যাস কূপ থেকে গ্যাস কত জোরে বা শক্তিতে নির্গত হচ্ছে তা বোঝায়। অর্থাৎ, ভূগর্ভে আটকে থাকা গ্যাসটি কতটা শক্তিতে নিজে থেকেই ওপরে উঠে আসছে—এই তথ্য থেকেই বোঝা যায় কূপে গ্যাসের উপস্থিতি এবং সম্ভাব্য মজুত কেমন হতে পারে।
এ চাপকে মাঝারি থেকে উচ্চ চাপ হিসেবে ধরা হয়, যা সাধারণত একটি কার্যকর গ্যাস ক্ষেত্রের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।
এসআই