ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে তিনটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ৮০০ গরু নিয়ে দুইটি ট্রেন ছেড়ে গেছে।
ট্রেনে গরু নিয়ে যেতে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে খামারি ও ব্যাপারীদের৷ এবার হাজারেরও বেশি গবাদি পশু রাজধানীতে যাবে বলে আসা করছেন কর্মকর্তারা।
সোমবার (০২ জুন) সরেজমিনে জামালপুরের ইসলামপুর স্টেশন প্লাটফর্মে গিয়ে দেখা গেছে এবার দেশীয় জাতের বড় ও মাঝারি ধরনের গরু নিয়ে আসছে খামারি ও ব্যাপারীরা।
ট্রাকের ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে গরুর সুস্থতা, কম খরচ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার কারণে গরুগুলো নিয়ে যেতে পেরে সন্তুষ্ট খামারি ও ব্যাপারীরা। তবে গরু বিক্রি শেষে ফিরতি একটি ট্রেনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মোয়াজ্জেম নামের এক খামারি বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাকের চেয়ে ট্রেনে আমাদের নিরাপত্তা বেশি। আমি ১৬টি গরু নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ট্রেনে ভাড়াও কম। গরুও সুস্থ থাকে।
আরেক ব্যাপারী আসাদুল বলেন, আমরা ট্রেনে গরু নিয়ে যাই খুব আরামে। কিন্তু গরু বিক্রি শেষে যে দুই একটা গরু বিক্রি হয় না। সেই গরুগুলো নিয়ে ফিরতে আমাদের সমস্যা হয়ে যায়। তাই ফিরতি পথে যদি আরেকটি ট্রেন দিলে ভালো হতো।
স্টেশন থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও প্রথম ট্রেনটি ছেড়ে যায় এক ঘণ্টা পর। এছাড়া সন্ধ্যার ট্রেনটিও দেরিতে ছেড়ে যায়। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে একটি ট্রেন যাবে। স্টেশন এলাকাসহ সব সময় টহল অবস্থায় রয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।
এবারে তিনটি ট্রেনে ইসলামপুর স্টেশন থেকে মোট ১২০০ গরু যাওয়ার কথা রয়েছে। খামারি ও ব্যাপারীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আরও ট্রেনের ওয়াগন বাড়ানোর কথা জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খামারি ও ব্যাপারীদের জন্য এই ট্রেনটি স্পেশাল করেছি। এখানে প্রতিটি ট্রেনের ২৫টি করে ওয়াগনে ১৬টি করে গরু যাবে রাজধানীতে। ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। মোট তিনটি ট্রেন যাবে।
আরএ