হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দুইদিন পর প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরের দিকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত প্রত্নতত্ত্ব স্থাপত্যটি।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত কাছারি বাড়ির পাশে রবীন্দ্র অডিটোরিয়ামে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে এই হামলা কাছারি বাড়িকে টার্গেট করে হয়নি। সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে কাছারি বাড়ি। একজন দর্শনার্থীর সঙ্গে কাছারি বাড়ির স্টাফদের ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হামলা হয়েছে। এটি মৌলবাদী হামলা বা রাজনৈতিক কারণে ঘটেনি। ’

এ সময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন হিরু, উপজেলা জামায়াত আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী শওকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন শাহনেওয়াজ নামে এক প্রবাসী দর্শনার্থী স্বপরিবারে কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে গেলে মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের টোকেন নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেই দর্শনার্থীকে কাছারি বাড়ি অডিটোরিয়ামে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগও ওঠে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ১০ জুন শাহজাদপুরে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ থেকে উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামের দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের ঘটনায় ১১ জুন থেকে কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগিরই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হবে। তদন্ত রিপোর্ট দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি অডিটোরিয়াম ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা নেই। ’

এসএএইচ