বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ-এর কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে পরে সন্ধ্যা ৬টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলার সেনা জোনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কেএনএ- এর আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ সাংবাদিকদের সামনে প্রদর্শন করা হয় এবং সেনাবাহিনীর রুমা জোনের কমান্ডার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য জেলার মানুষের নিরাপত্তায় কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশয় দেওয়া হবে না। সকল ধরনের সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
এসময় তিনি জানান, ৩ জুলাই ভোর ৫টায় সুনির্দিষ্ট গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পলি পাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় কেএনএফ এর সশস্ত্র দল কেএনএ এর বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান এলাকায় তল্লাশি চলাকালে সেনা সদস্যরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেএনএ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সেনা টহল দল ঘটনাস্থলে ইউনিফর্ম পরিহিত দুইজন সশস্ত্র কেএনএ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং যিনি কেএনএ-এর নেতৃত্ব পর্যায়ের মেজর পদবির সশস্ত্র সদস্য ছিলেন আর নিহত আরেকজন কেএনএ এর সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সাবমেশিনগান, ১টি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্রের ম্যাগাজিন, কেএনএফ এর ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান সেনাবাহিনীর রুমা জোনের কমান্ডার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
প্রসঙ্গত: ২০২০সাল থেকে পার্বত্য জেলার বম জনগোষ্ঠীর কিছু বিপথগামী যুবক কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন, আর তাদের সশস্ত্র কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নিমূর্লে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়।
এদিকে যৌথবাহিনীর অভিযানে এই পর্যন্ত কেএনএফের প্রায় ১২০জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী, তাদের নামে বান্দরবান সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় হয়েছে বেশ কয়েকটি মামলা।
আরএ