পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে পণ্য পরিবহণ শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টায় নেওয়া হয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (৫ জুলাই) থেকে সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলেও জনজীবনে এর প্রভাব পড়েনি। এ অবস্থায় ৪৮ ঘণ্টার আন্দোলন বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টায় নেওয়া হয়েছে।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সিলেটের জেলা প্রশাসক অপসারণ। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই দাবি থেকে সরে এসেছেন শ্রমিকরা। তাদের বাকি দাবির মধ্যে রয়েছে- সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া; ক্রাশার মেশিন ধ্বংসে জেলা প্রশাসনের অভিযান বন্ধ করা; পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটকানো বন্ধ; চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিসে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করা।
সরেজমিনে নগরের বেশ কিছু কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মঘটের কোনো প্রভাব নেই। ক্রয়কৃত পণ্য সামগ্রী নিয়ে ছোট পিকআপ যোগে অনেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছেন। তবে কাঁচামাল বিক্রি ও ফল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কেননা, ধর্মঘটের কারণে সিলেটের অনেক জায়গায় সঠিক সময়ে মালামাল যাচ্ছে না।
জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া বলেন, আমরা শুরু থেকে ৫ দফা দাবি দিয়ে এসেছি। এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেব। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসকের অপসারণ চাইব। তাই বর্তমানে ৪৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে আমরা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর আগে একই দাবিতে সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ গণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি এবং সংবাদ সম্মেলন করে।
এনইউ/এমজে