ঢাকা, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

ছেলের লাশ দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন আসিফের বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৮, জুলাই ৯, ২০২৫
ছেলের লাশ দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন আসিফের বাবা

বন্ধুরা ফিরে গেছে হলে। কিন্তু আসিফ আহমেদ ফিরছেন কাফনে মোড়া কফিনে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থী মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সৈকতে স্রোতে ভেসে যান। একদিন পর, বুধবার (৯ জুলাই) সকালে ভেসে ওঠে তার নিথর দেহ। এখন সেই দেহ ফিরছে সড়কপথে বগুড়ার নারুলিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসিফের মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছেন বাবা রফিকুল ইসলাম। তিনি লিখেছেন, ‘মা হারা ছেলে আমার। আমি কি বলবো, ভাষা নাই। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর চেয়ে কষ্টদায়ক কিছু নেই।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের বাড়ি বগুড়ার নারুলি দক্ষিণ পাড়ায়। বাবা রফিকুল ইসলাম গাবতলীর বাগবাড়ি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তার মা উম্মে শরিফা মারা গেছেন দুই বছর আগে। দুই ভাইয়ের ছোট আসিফ ছিলেন পরিবারের আদরের সবার প্রিয়।

মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসলে নেমে স্রোতে ভেসে যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে বুধবার সকালে সমিতিপাড়া সৈকত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় আসিফ আহমেদের মরদেহ।

সন্তানের মরদেহ নিয়ে সড়কপথে কক্সবাজার থেকে বগুড়ায় ফিরছেন বাবা রফিকুল ইসলাম। কথা হলে তিনি বলেন, পরশুদিন ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। বলেছিল, “বাবা, কাল আমার পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হলে কথা বলবো। ” আমি ঘুণাক্ষরেও বুঝিনি ও কক্সবাজারে যাবে। এখন আর কোনো কথা বলবে না সে। কফিনেই ফিরছে আমার ছেলে।

আসিফের খালা বলেন, ও সবার প্রিয় ছিল। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন— সবার সঙ্গে ওর গভীর সম্পর্ক ছিল। জন্মদিনে ২৫ জন বন্ধু এসেছিল। এত বন্ধু কার থাকে? ও ছিল প্রাণখোলা একটা ছেলে।

আসিফের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বগুড়ার নারুলির দক্ষিণ পাড়া। বাসার আশপাশে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা অপেক্ষায় আছেন মরদেহ পৌঁছানোর। কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, চলছে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি।

জিডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।