ঢাকা, শনিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ জুলাই ২০২৫, ১৬ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর সবজি বাজারে অস্থিরতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫১, জুলাই ১১, ২০২৫
টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর সবজি বাজারে অস্থিরতা

টানা বৃষ্টির কারণে পটুয়াখালী জেলার সবজির মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাজারে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা।

চলতি মাসের গত শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় রেকর্ড ৫২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা এক সপ্তাহের হিসাবে জেলার জন্য রেকর্ডপর্যায়ের বলে বিবেচিত।

অতিবৃষ্টির ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকার সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। স্থানীয় উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে।

শুক্রবার সকালে জেলা শহরের নিউ মার্কেট, নতুন বাজার, কলাতলা বাজার ও পুরান বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গত সপ্তাহে এই দাম ছিল ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে।

বাজারে অন্যান্য সবজির মধ্যে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, লাউ ৬০–৭০ টাকা, পটল ৫০–৫৫ টাকা, কাঁকরোল ৭০–৮০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা এবং তাল বেগুন ৯০–১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া শসা ৩০–৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫–৫০ টাকা, গাজর ১০০–১৫০ টাকা, করোলা ৬০–৬৫ টাকা, রেখা ৩৫–৪০ টাকা, জালি ৪০ টাকা এবং টমেটো ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শাকসবজির দামেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বাজারে পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ৪০ টাকা, লাউশাক ৫০ টাকা, শাপলা পাতা ও ঢেঁকি শাক ৩০ টাকা করে এবং কলমি শাক ৩০ টাকায় চার আঁটি দরে।

ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে স্থানীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় অধিকাংশ সবজি এখন জেলার বাইরে থেকে আমদানি করা হচ্ছে। ফলে পরিবহন ব্যয়ও যুক্ত হয়ে বাজারে সবজির দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সবজি উৎপাদনে ক্ষতির পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চলেও বৃষ্টি ও বন্যা অব্যাহত থাকায় সার্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট তৈরি হচ্ছে। এতে আগামী সপ্তাহে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় কৃষকরা ইতোমধ্যে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেক ক্ষেতের সবজি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। জেলার কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।