মাদারীপুর: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, এই দেশটা খাদের মধ্যে পড়ে গেছে। দেশটাকে খাদের মধ্যে থেকে উঠাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নাজমুল হুদা মিঠু চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ড. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশের পুনর্গঠনের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাজ করছেন। ৫ আগস্টের পর তার দেওয়া প্রতিটি বক্তব্য এতটাই সুসংহত ছিল যে, শত্রুরাও তার সঙ্গে দ্বিমত করতে পারেনি।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের দেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। কীভাবে দেশটাকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
মিডফোর্ট হাসপাতাল সংলগ্ন এক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ড. আসাদুজ্জামান বলেন, যে ছেলেটি নিহত হয়েছেন, সে বিএনপির কর্মী ছিল। অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি একসময় রাব্বানীর পাণ্ডা ছিল এবং গত ৫ আগস্টের ৩৬ দিনের আন্দোলনের সময়ও ক্যাডার বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা এখন বিভিন্ন দলে জায়গা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ছদ্মবেশে গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
ড. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো রাতের ভোটের সরকার না আসে, তা নিশ্চিত করা। রাষ্ট্র ও রাজনীতির যে ত্রুটিবিচ্যুতি আছে, তার দাওয়াই দেওয়ার নামই হলো সংস্কার। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা নিতে যাচ্ছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
সরকারের কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব চুক্তির বিষয়বস্তু সরকার প্রকাশ করতে পারে না বা প্রকাশযোগ্য নয়, সেই সব চুক্তি তারা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে করতে যাচ্ছে কিংবা তাদের বলা হচ্ছে করতে। অথচ এটি নির্বাচিত সরকারের কাজ। আমরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি, স্পষ্ট জানিয়ে দিন—এটা নির্বাচিত সরকার করবে। যদি জাতীয় স্বার্থে দরকার হয়, তবে তা করবে; না হলে করবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাদিরা মিঠু চৌধুরী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, খন্দকার মাসুকুর রহমান মাসুক, সৈয়দ সেলিমুজ্জামান সেলিম, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব মো. জাহান্দার আলী জাহান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এসআরএস