নীলফামারীতে তিস্তা সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর সেচ খালের বাঁধ ভেঙে ৩০ একর জমির আমন ধানের সদ্য রোপিত চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ওই সেচ খালে জেলা সদরের চাঁদেরহাট স্লুইচ গেট থেকে দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় খরিপ-২ মৌসুমের সেচ বন্ধ রয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে জেলা সদরের কালিতলা ভাট্টাতলি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার লোকজন জানান, কয়েকদিন ধরে অনাবৃষ্টিতে কৃষকদের মধ্যে ক্যানেলের সেচের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ওই পানি দিয়ে কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা রোপণের কাজ করছিল এলাকায়। ইঁদুরের গর্তের কারণে সেচ খালের বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। রোববার সকালে পানির চাপে ওই ফাটল স্থান বিধ্বস্ত হলে আবাদি জমিতে পানি প্রবেশ করে। এতে এলাকার প্রায় ৩০ একর রোপা আমন ধান ক্ষেতের সদ্য রোপিত চারা নিচে তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বৃষ্টিপাতের কারণে খালের পাড়ের মাটির ওপর চাপ পড়ে। এতে ইঁদুরের গর্তে পানি ঢুকে পাড়ের ৩০ ফিট বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে জিওব্যাগ ও মাটি দিয়ে ভাঙা অংশ মেরামত করা হচ্ছে। আশা করি আগামী দুইদিনের মধ্যে ওই খাল দিয়ে স্বাভাবিক সেচ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ যে, তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে গত পহেলা জুলাই থেকে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে তিস্তা সেচ প্রকল্পের খরিপ-২ মৌসুমী আমন ধান উৎপাদনে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়। এ মৌসুমে ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে নীলফামারী জেলায় ৩৯ হাজার, রংপুর জেলায় ১৪ হাজার এবং দিনাজপুর জেলায় ১০ হাজার হেক্টর রয়েছে।
আরএ