বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ২৩১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের আদালতে মামলাটি করেন বিএনপি কর্মী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শহিদুল ইসলাম।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগ সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন; সদ্য সাবেক সংরক্ষিত নারী এমপি সুলতানা নাদিরা; সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির; বরগুনা উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান; সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ালি অলি; জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাহাদুর। সবমিলিয়ে ২৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাকারী শহিদুল ইসলাম অভিযোগে বলেন, ২০২৩ সালের ৩০ মে বিকেল ৩টার দিকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নেতৃত্বে আসামিরা বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।
তিনি বলেন, কার্যালয়ে টাঙানো বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবিও ভাঙচুর করা হয়। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় মামলা করতে পারিনি। এখন সাহস করে মামলা করেছি। তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
বরগুনা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, আমি শুনেছি শহিদুল ইসলাম মামলা করেছেন। বিষয়টি সংগঠনগতভাবে আমরা আলোচনা করব।
একই ঘটনায় এসএম নঈমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি চলতি বছরের ৩০ মে বরগুনা আদালতে আওয়ামী লীগের ১৫৮ নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। সেখানে ঘটনাটি ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এসআরএস