ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না: সারজিস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৭, জুলাই ২৯, ২০২৫
আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না: সারজিস টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মিডিয়াকে দেখতে চাই না।

 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইলে মারুফ হত্যার আসামিদের ধরার তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করিনি। এখনো টাঙ্গাইলের কিছু ব্যক্তি, কিছু দল, কিছু গোষ্ঠী জুলাই-আগস্টে নিহতদের বিচারকে সামনের দিকে না নিয়ে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা মামলা বাণিজ্য করছে। আমরা চিনে রাখছি কারা এই মামলা বাণিজ্য করছে। গণঅভ্যুত্থানের সময়ে খুব অল্প সময়ে খুনি হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিল। এ জন্য ওই সময় আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা প্রত্যেকটা স্টেপ পর্যবেক্ষণ করছি। কোন মিডিয়া কার হয়ে কাজ করছে, কোন প্রশাসন জনগণের উদ্দেশ্য সার্ভ না করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সার্ভ করছে, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের কাছে চাঁদাবাজীর একটাই পরিচয়, সেটা হচ্ছে তারা চাঁদাবাজ। এই বাংলাদেশে আর কোনো চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি চাঁদাবাজকে প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করে তাদের চাঁদাবাজির ভাগিদার হিসেবে বিবেচিত করা হবে।  
 
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের পছন্দের জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেছে। এই টাঙ্গাইল জেলা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলাতে থাকতে পারতো। কিছু দলীয় স্বার্থ হাসিল করতে এত বড় একটি ঐতিহ্যবাহী জেলার স্বার্থকে বিসর্জন দিতে হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরেও এই টাঙ্গাইল ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের পরিচিতি রয়েছে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এই তাঁত শিল্পকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করা হয়েছে।  

ঐতিহ্যবাহী ভাসানী হল এখন মাদকের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। কিছু জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ টাঙ্গাইলের যমুনা পাড়ের মানুষদের জন্য তেমন বরাদ্দ আসেনি। বরং যা এসেছে তা তাদের নেতাকর্মীরা লুটপাট করে খেয়েছে।

প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ২৪ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাংলাদেশের জন্য দেখতে চাই, দেশের মানুষের জন্য দেখতে চাই। আমরা প্রশাসনকে কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। কোনো দল বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দেখতে চাই না।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল), হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আজাদ খান ভাসানী, টাঙ্গাইল জেলার মুখ্য সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে তারা টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজের সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থল শহীদ মিনার চত্বরে আসেন।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।