মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে সোহেল আহমেদ (২৮) নামে এক রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছোট ভাই ইমন (২৪)।
জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লাঠিটিলা ডুমাবাড়ি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ডুমাবাড়ি গ্রামের মজুমিল উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান জুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৮টায়। সোহেল টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তার মানিব্যাগটি সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। তিনি যথারীতি কোনো কিছু চিন্তা না করে সঙ্গে সঙ্গে মানিব্যাগটি তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেই জ্ঞান হারান। পরে সোহেলের উঠে আসতে দেরি দেখে তার ছোট ভাই ইমন সেপটিক ট্যাংকে নেমে দেখেন সোহেল অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। এসময় বড় ভাইকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে ফায়ার সার্ভিস এবং এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বাড়ির বাইরের খোলা ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে যেয়ে সোহেলের মানিব্যাগ সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জুড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টাফ অফিসার এসএম শামীম জানান, তারা রাত ৯টার দিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান সোহেল ও ইমন ল্যাট্রিনের ট্যাংকে পড়ে আছে। তারা সোহেলকে অচেতন অবস্থায় এবং ইমনকে অসুস্থ অবস্থায় জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানকার চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুর্শেদ আলম ভুইয়া।
বিবিবি/আরএ