লক্ষ্মীপুর: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে যখন এক দফার আন্দোলন, তখন বার বার জেলে গিয়েছি। হামলা, মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন হয়েছে আমার ও আমাদের সব নেতাকর্মীর ওপর।
আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুমের শিকার, খুনের শিকার, রক্তাক্ত হয়েছে। আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যাইনি। সন্ত্রাস, অত্যাচার নির্যাতনের মধ্যেও বীরদর্পে চলেছি, যোগ করেন এ্যানি।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানি বলেন, আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে, নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। তারপরও আমরা পালিয়ে যাইনি। অনেক এসপি, ডিসির রক্তচক্ষু দেখেছি, আর গডফাদার তাহের (প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা) বাহিনী তো সাধারণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু সব সময় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ জেলায় (লক্ষ্মীপুর) আমরা নেতৃত্ব দিয়েছি। মাথানত করে নেতৃত্ব দিই নাই।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন মনে করলেন, রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের যে একটা গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন এবং সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো দরকার, আগামী যে নির্বাচন, আগামী দিনে দেশ গড়ার যে চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ ভূমিক প্রয়োজন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছি। তিনি যে কথাগুলো বলছেন, তাতে সাধারণ মানুষের আস্থা এমনভাবে বেড়ে চলেছে, যেন বাংলাদেশের সঠিক যে একটা নেতৃত্ব দরকার, তিনিই হলেন তারেক রহমান। তিনি আস্থা সৃষ্টি করেছেন, বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। তার অপেক্ষায় রয়েছি, তিনি এ দেশে আসবেন। একটা সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সে জনগণের সরকার বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের সরকার হবে।
এ্যানি বলেন, আমরা ৩১ দফার কথা বারবার বলেছি। আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি, লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, সবাইকে নিয়ে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করব। সেই সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হয়ে।
আমাদের এখন নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে, যোগ করেন এ্যানি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেকে।
এসআই