দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা সব সময় জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, জেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মী স্থানীয়ভাবে সালিশ, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে জড়াতে পারবেন না। সংগঠনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, স্থানীয় পর্যায়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ালে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি জনগণের আস্থাও দুর্বল হয়ে যায়। তাই মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা এখন অত্যন্ত জরুরি।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নেতাকর্মীদের প্রধান দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকা এবং জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত থাকা। জনগণকে দলীয় শক্তি ও আন্দোলনের মূলভিত্তি হিসেবে ধরে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, জনগণের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল, ভদ্র ও অমায়িক আচরণ বজায় রাখা প্রতিটি কর্মীর নৈতিক দায়িত্ব। দায়িত্বশীল, মানবিক ও সহমর্মী আচরণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা গেলে দলীয় ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, কেউ এ নির্দেশনা অমান্য করলে তা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে এবং সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলকে ঐক্যবদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঠিক আচরণই জনগণের কাছে দলের অবস্থান শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখাই এই নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে অপ্রয়োজনীয় বিরোধ ও প্রভাব বিস্তারমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার মাধ্যমে জনগণের কাছে দলীয় ভাবমূর্তি ইতিবাচক রাখা যাবে।
এ ধরনের পদক্ষেপ পটুয়াখালীতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে নতুন মাত্রা যোগ এবং মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলেও মনে করছেন তারা।
আরএ