ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ জন নারীকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার জগন্নাথপুর আধুনিক অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী। বক্তব্যে তিনি বলেন, “একটা সংসার স্বাবলম্বী হতে হলে প্রয়োজন দুটো জিনিস-যন্ত্র আর টাকা। বসুন্ধরা গ্রুপ ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে টাকা দিচ্ছে, আর নারীদের বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দিচ্ছে। এই দুটো জিনিস থাকলে একজন নারীকে আর অন্যের কাছে হাত পাততে হবে না। ”
তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরার দেওয়া সেলাই মেশিন ৫০ বছরের বেশি সময় টেকে, ফলে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত এই মেশিন দিয়ে সংসারের আয় করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান। বক্তব্য দেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া জাহান ইভা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. দুধ মিয়া এবং বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন।
সেলাই মেশিন পেয়ে উপকারভোগীরা নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। উপজেলার দরিয়াদৌলত গ্রামের বিধবা সুমি আক্তার বলেন, `স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। এখন এই মেশিন দিয়ে অন্তত ঘরে বসে আয় করতে পারব। '
আরেক উপকারভোগী স্থানীয় উলুকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ববিতা রাণী শীল বলেন, `আমার স্বামী একজন নরসুন্দর। তার একার উপার্জন দিয়ে ছয় সদস্যের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। ফলে সংসার চালাতে গিয়ে ধারদেনা করা লাগে। এখন এই মেশিন পেয়ে আমি আয়-রোজগার করতে পারবো, যেটা সংসারের খরচ যোগাতে সহায়ক হবে। '
স্কুল শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার পড়াশোনার খরচ পরিবার চালাতে পারে না। বাবার টাকায় সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। এখন সেলাই মেশিন পাওয়াতে এটা দিয়ে কাপড় সেলাই করে টাকা আয় করতে পারব। পাশাপাশি পড়াশোনার খরচ চলবে।
বক্তারা উপকারভোগীদের মেশিন যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি চাঁন মিয়া সরকার।
আরএ